ভারতের সীমান্তবর্তী দুইটি গ্রাম যেখানে এখনও পর্যন্ত কোন মানবিক দলের সাহায্য পৌঁছায়নি, আমাদের গন্তব্যস্থল আজকে সেখানেই। কোম্পানীগঞ্জের ঐ গ্রাম দুইটির বেশিরভাগ ঘরই পানির নিচে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা দুইটি দলে ভাগ হয়ে প্রায় পাঁচ হাজার জনের জন্য বিরিয়ানী, শুকনো খাবার। ১. পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে স্বাভাবিক চলার শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা। শারীরিক দুর্বলতার কারণে স্বেচ্ছাসেবীদের থেকে পাওয়া ফুডপ্যাকটি বহন করে নিয়ে যেতে পারছিলেন না। তাই স্বেচ্ছাসেবী নিজেই অসহায় বানভাসি এক মায়ের বাড়িতে ফুডপ্যাকটি পৌঁছিয়ে দিচ্ছেন । ২. ইঞ্জিন চালিত নৌকা না পেয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বৈঠা দিয়ে নৌকা চালিয়ে পানিবন্দী অসহায় মানুষদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন আল মানাহিলের স্বেচ্ছাসেবীরা। রান্না করা খাবারের পাশাপাশি ফুড প্যাকও বিতরণ করা হচ্ছে। ৩. পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে স্বাভাবিক চলার শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা। শারীরিক দুর্বলতার কারণে স্বেচ্ছাসেবীদের থেকে পাওয়া ফুডপ্যাকটি বহন করে নিয়ে যেতে পারছিলেন না। তাই স্বেচ্ছাসেবী নিজেই অসহায় বানভাসি এক মায়ের বাড়িতে ফুডপ্যাকটি পৌঁছিয়ে দিচ্ছেন । ৪. রাত ১ টা। আলহামদুলিল্লাহ এখনো মাল আনলোডিংয়ের কাজ চলছে। দুই ট্রাকের মাল আনলোড শেষে কালকের জন্য শুকনা খাবার প্রস্তুত করা হচ্ছে। রাতভর প্যাকিং চলবে। আমরা আল্লাহ’র কাছে লাখ লাখ শোকরিয়া জানাই তিনি আমাদেরকে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রেখেছেন। সাথে সাথে তাদের মত সৌভাগ্যবান আর কারা আছে যারা এই দুর্যোগে অর্থ দিয়ে, শ্রম দিয়ে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। ৫. আজ আমরা বন্যা পীড়িত অঞ্চলগুলোর ৬০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করব। প্রতিটি প্যাকেটে ১৪ কেজি করে খাবার আছে।